হিরো আলমের নতুন কোনো গান বা অন্য কোনো কীর্তি প্রকাশিত হলে আজকাল দেখি অনেকেই লেখেন―’একে কেউ থামান। ‘ ‘আইন করে হিরো আলমের গানবাজনা বন্ধ করা হোক। আমার প্রশ্ন হলো, আপনি কী করে জানেন যে তার গান শ্রবণযোগ্য নয়? তার মানে আপনি গানটি আগে শ্রবণ করেন তার পরে শ্রবণযোগ্য নয় বলে মত দেন!

অর্থাৎ হিরো আলমকে নিয়ে নিজের কৌতূহল আপনি দমন করতে পারেন না, এটাই কিন্তু তার ইউএসপি। আপনি নিজের উৎকৃষ্টতার প্রমাণ দিতে গিয়ে আরেকজনকে নিকৃষ্ট বলার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চান না, ফলে হিরো আলমকে আপনার বা আপনাদের কারণেই থামানো যাচ্ছে না। আপনার ঘৃণা যদি আরেকজনের জীবিকা নির্বাহের সহায়ক হয়,

তাহলে সে কেন নিজের উপার্জনের এই সহজতর পথটি ছেড়ে দেবে? আপনি ডিজার্ভ করেন হিরো আলমকে, এটা আগে মেনে নিন। দেশের অধিকাংশ গুণী, প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ শিল্পীর হিরো আলমের ধারেকাছেও ভিউ নেই, তারা স্পন্সর না পেলে গান দিয়ে একটা টাকাও উপার্জন করতে পারেন না! হিরো আলমের কণ্ঠে গাওয়া রবীন্দ্রসংগীতের ধারেকাছেও কি বাংলাদেশের প্রথিতযশা কোনো রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীর গানের ভিউ আছে? আমার তো মনে হয় না আছে।

আমি হিরো আলমের কোনো গানই সেই অর্থে শুনিনি (নিউজ ফিডে অটো প্লে হওয়া ছাড়া), আপনাদের বিভিন্ন ঘৃণা ছড়ানো পোস্ট থেকেই এই সমস্ত ধারণা পাই। গত দুই-তিন দিনে আপনাদেরকে আরো ভালোভাবে বোঝা হয়ে গেছে আমার। নায়ক-নায়িকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানা তিন দিন ধরে হাস্যরস করেও মন ভরেনি আপনাদের, হিরো আলমের মতো আপনাদেরকেও থামানো যাচ্ছে না।

তাদেরকে নিয়ে কে কত রসিকতা বা উপহাস করতে পারেন তার একটা প্রতিযোগিতা চলছে যেন! অথচ সীতাকুণ্ডের সেই ভয়াল অগ্নিকাণ্ড দু’দিনেই ভুলে গেছেন, সেখানে এখনো পুড়ে যাওয়া করোটি-কঙ্কাল মিলছে! চট্টগ্রামেরই আরেকটি ডিপোতে গতকাল অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, সেই খবরটা আপনাদের নজরে এসেছে কি না জানি না!